ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কথা বলে টাকা নেন আবুল কাশেম

প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক লিমিটেড এর পরিচালক বানানোর আশ্বাস দিয়ে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মূলধন ও বাড়তি খরচ সংগ্রহ শুরু করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯ সালে পিপলস ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ও সিটিজেন ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেয়।
অনুমোদনের পর বেঙ্গল কমার্শিয়াল ও সিটিজেন ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করলেও পিপলস ব্যাংক আর আলোর মুখ দেখেনি। শর্ত পালন করতে না পারায় ব্যাংকটির প্রাথমিক অনুমোদনও বাতিল করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
কিন্তু অনুমোদনের আগে ব্যাংকের নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ আর ফেরত দেননি আবুল কাশেম। ব্যাংকের পরিচালক বানানোর কথা বলে এসব অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই টাকায় আবুল কাশেম গুলশানে কেনেন ফ্ল্যাট, কেনেন দামি গাড়ি।
জানা গেছে, পিপলস ব্যাংকের পরিচালক বানানো ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের কথা বলে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট থেকেও ১০০ কোটি টাকা নিয়েছিলেন আবুল কাশেম।
এ ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পাশাপাশি তাঁর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে পালানোর সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হয়েছেন প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম।
বুধবার মধ্যরাতে ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। অর্থ পাচারের এক মামলায় বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার পর তিনি গ্রেফতার হলেন।
What's Your Reaction?






