
তীব্র শীত থেকে রক্ষা পেতে বস্তার মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ
ঢাকা শহরের কিছু মানুষ যখন শীতের তীব্রতা আপ্লুত হয়ে নিজেদের ইউরোপ আমেরিকার নাগরিক মনে করে রসিয়ে রসিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিচ্ছেন ঠিক তখন ডেইলি স্টারের এই ছবি ভাইরাল, ছবিতে দেখা যাচ্ছে শীত থেকে রক্ষা পেতে বস্তার ভেতর আশ্রয় নিয়েছে মানুষ। ঢাকার পান্থপথে এই দৃশ্য দেখা গেছে। বস্তার ভেতর থাকা মানুষটিকে জিজ্ঞেস করে জানা গেছে এই তীব্র শীতে প্লাস্টিকের বস্তা আর একটি পাটিই তার সম্বল। খুব ঠান্ডা তাই বস্তার ভেতর ঢুকে আছেন। ঠান্ডায় ঘুম আসে না।তবুও লড়াই চলছে টিকে থাকার।এই শীতে যখন আমরা শহুরে বাসি শীতবিলাস করছি কিছু মানুষ লেকের পাড়ে, রাস্তার পাশে একটা কাপড় জড়িয়ে কোনভাবে ঘুমিয়ে আছে। এই দৃশ্য দেখে কুয়াশাও লজ্জা পায় হয়তো। কিন্তু আমার রাষ্ট্র লজ্জা পায় বলে মনে হয় না।
গাড়ি গুলো ছুটছে। ল্যাম্পপোষ্টের আলো জ্বলছে। পৃথিবী ঘুরছে। সব কিছুই ঠিক ঠাক চলছে। আমার দেশের দায়িত্ব নেওয়ার মানুষের অভাব নাই। দেশের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বিরোধী দল উতালা আর সরকার দায়িত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য সব কিছুই করছে। এমনকি দেশের নায়িকারা সংসার টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে দেশের প্রথম সারির সব পত্রিকা।
গনতন্ত্রের চতুর্থ পিলার হিসাবে গনমাধ্যম কে বলা হয়,আমাদের দেশের অধিকাংশের মালিক কালো টাকার মালিকরা। তারা ক্ষমতার চোখে চোখ রেখে কথা বলবে তা আপনি কখনোই মনে করতে পারেন না।আমেরিকার গনমাধ্যম কিভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেরা করতো ,তা কারো না দেখার কথা না।
সিনএনএনের সাথে তো রীতিমতো গ্রামের ঝগড়া হতো। এর পর বলতে পারেন , লেখকদের কথা ,ভলতেয়ার আর রুশোর উনাদার লেখা ফরাসি বিপ্লবের পিছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। আমাদের লেখক ,হুমায়ুন আহমেদ মারা যাওয়ার পর কার লেখা পড়ে মানুষ!
এমন কেউ নাই ,দুই একজন আছে কলাম লেখক ,তারাও নিজ নিজ রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য লেখে এ ছাড়া আর কিছুই না। যারা লেখক বলে দাবি করে তারা হয়তো নায়িকার সাথে ছবি তোলে অথবা কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। অথচ আমাদের কি গৌরবময় সাহিত্য ছিলো। কত বড় বড় নাম। এখন তার কিছুই নাই। শেষ যে আমাদের নাটক ছিলো তাও শেষ,মঞ্চের নাট্যকর্মীরা না খেয়ে থাকে ,তাদের জায়গা নিয়ে নিয়েছে টিকটকাররা। তাহলে মানুষের কথা কারা বলবে বা লিখবে?
এই যে মানুষের ঘর নাই ,ছেলেমেয়েদের চাকরি নাই,অসম শিক্ষা ব্যবস্থা,উগ্রবাদের আস্ফালন ,আর বিজ্ঞান গবেষণায় তো আরো ভয়াবহ অবস্থা ।
একমাত্র রাজনীতিবীদরা তা বলতে পারে এবং করতে পারে। রাজনৈতিক নেতারাই একটা দেশের ভাগ্য বদলাতে মুখ্য পালন করতে পারে। বঙ্গবন্ধু তার বড় উদাহরন। রাজনীতির মাঠে নেতা তৈরি হয় কর্মী দিয়ে। সেখানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। রাজনৈতিক নেতার জায়গা দখল করে নিয়েছে ব্যবসায়ী আর অন্য পেশার মানুষেরা।
তাইতো পশ্চিমারা যখন মহাকাশ পাড়ি দেয় কিংবা পঞ্চম প্রজন্মের বিমান বানায় ,আমাদের তখন কিছুই নাই, কিছু সস্তা ইউটিউবার আর কিছু সস্তা সেলিব্রেটি বানাতে পারছি আমরা!