চলচ্চিত্র প্রযোজক মো. ইকবালের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী তাসনিয়া রহমানের প্রতারণার অভিযোগ

মডেল ও অভিনেত্রী তাসনিয়া রহমান ঢাকাইয়া চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও পরিচালক মো. ইকবালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এক পোস্ট তাসনিয়া রহমান লেখেন.....
"বলছিলাম এই বিশ্বাসঘাতক "মো: ইকবাল"কে নিয়ে যিনি বর্তমানে "কিল হিম" এর ডিরেক্টর নামে পরিচিত। আমার মামলার সাথে প্রাথমিক অবস্থায় তিনি ভাই হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন আমাকে সাহায্য করবেন বলে। আসামি বের হয়ে যাবার পর তিনি ও স্ক্রিপ্ট রাইটার 'বাবু' ভাই নিজেদের চলচ্চিত্রের ব্যবসায়িক স্বার্থে আসামি জসিমের সাথে একত্রে মিলে আমাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র পরিকল্পনা করেন (যেহেতু মামলার ব্যাপারগুলোয় তিনি অবগত ছিলেন এবং পরবর্তীতে আমাকে অনুপস্থিত দেখিয়ে তিনি তাঁর মত মামলার মূলধারা বাতিল করবার প্ররোচনায় লিপ্ত ছিলেন)।
আসামি জসিম এবং ভাইরুপি এই বেইমান ইকবাল বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার নামে এখন পর্যন্ত কোনোরূপ প্রমাণ ছাড়াই বেশ অপপ্রচার চালায় এবং তিনি নিজে এসে নোংরা ভাষায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, যেখানে তাঁর সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিলোই না।
আমার কাছ থেকে প্রথমে আর্থিক সহায়তা নিয়ে পরবর্তীতে তাঁর করোনাকালীন পরিস্থিতিতে মুক্তিপ্রাপ্ত "রিভেন্জ" নামক সিনেমায় আসামি জসিমের নিজস্ব 'মার্সিডিজ গাড়ি' নিয়ে তিনি আমাদের দুজনের থেকেই সুবিধা নেন। আমি যদি ভুলও হয়ে থাকি তাও তিনি আমার মামলায় আসামীর সাথে হাত মেলাবার কোনরকম যথাযথ কারণ দেখাতে পারবেন না। যেখানে ব্যবসা তিনি সেখানেই ছিলেন। পল্টি নিতে এই মানুষটার বুক কাঁপেনি এবং আমার যা ক্ষতি করবার তা তিনি সুষ্ঠুভাবে করে দিয়ে গেছেন। অথচ তাঁর সাথে চলাকালীন অবস্থায় তাঁর সকল অপকর্মের সাক্ষী ছিলাম আমি। সেটা হোক মেয়েঘটিত ব্যাপার অথবা দালালি।
তাঁর এফডিসিতে উঠে আসার গল্প অনুসন্ধান করলেই তাঁর সব পরিচয় পেয়ে যাবেন। এমন ধোঁকা তিনি বেশ সকলের সাথেই কম-বেশি দিতে অভ্যস্ত। এই সখ্যতা - তো এই শত্রুতা। পাশাপাশি ফুটেজ খেতে এর আগেও মিডিয়ার বেশ খ্যাতনামা কয়েকজনের ব্যক্তিগত জীবন ও দ্বন্দ্ব নিয়েও তিনি সাক্ষাৎকার দিয়ে আলোচনায় থাকার সস্তা চাল চেলেছেন। যাদের সম্পর্কেই বলেছেন, তাদের এক সময়কার আস্থার ব্যক্তি ছিলেন তিনি নিজেই।
তাঁর নিজের ব্যক্তিগত জীবনেও ধর্ষণ, শারীরিক অত্যাচার, মানহানির মামলার ঘটনা অহরহ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন নিউজ রয়েছে। তাই সকলের কাছে অনুরোধ করছি এসব শক্তিধর বহুরূপী ক্ষতিকারক মানুষকে সাপোর্ট না দিয়ে এদের আসল চেহারা তুলে ধরুন।
আবারো ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, প্রমাণসহ কিছু সংগৃহীত প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য তুলে ধরবার জন্য। কাউকে ছোট করতে এসব প্রকাশ্যে আনা হয়নি, শুধু মো: ইকবালের আসল চেহারা তুলে ধরবার ছোট্ট প্রচেষ্টা। ওনার ভাষাগত চর্চা সম্পর্কেও আশা করছি আপনাদের ধারণা হবে।"
এ বিষয়ে বারবার চেষ্টা করেও মো. ইকবালের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
What's Your Reaction?






