বেহাল দশা বশেমুরবিপ্রবি স্কুল এন্ড কলেজের, মূল ভবনে ফেরার দাবি

Feb 25, 2024 - 00:15
Feb 25, 2024 - 00:16
 0  46
বেহাল দশা বশেমুরবিপ্রবি স্কুল এন্ড কলেজের, মূল ভবনে ফেরার দাবি

বেহাল দশায় চলছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অধীনস্থ বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ।

 সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সংস্কার কাজের ময়লার স্তুপে এবং ড্রেনেজের অব্যবস্থাপনার কারণে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে বিদ্যালয়টির প্রাঙ্গণ। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তারই প্রেক্ষিতে সমস্যাগুলোর প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিও পালন করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

 সংশ্লিষ্টদের দাবি ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু যাত্রা শুরুর ৪/৫ মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম সংকট দেখিয়ে তৎকালীন উপাচার্য খন্দকার নাসিরুদ্দিন প্রতিষ্ঠানটিকে মূল ভবন (বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশের টিনসেড ভবন) থেকে সরিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের পাশে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তর করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারের ময়লা রাখার কারণে ময়লা স্তুপের ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনটি।

 এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যাগুলোর সমাধান চেয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের। তাই বিদ্যালয়ের মূল ভবনে ফেরার দাবি তাদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুল এন্ড কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, আমাদের বরাদ্দকৃত স্কুল ভবন শেখ ফজলে নাঈম উদ্বোধন করে দিয়েছিলেন। সাবেক উপাচার্য খন্দকার নাসিরউদ্দীন জায়গাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে নিয়েছিলেন এবং ভিসি বাংলোর পাশে আমাদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। আমরা বর্তমানে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান করছি। এক্ষেত্রে ১০-১২ টা ক্লাস রুম থাকা দরকার কিন্তু ক্লাস রুম সংকটের কারনে একই রুমে দুটি ক্লাস করানো লাগছে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের জন্য শ্রমিকরা দুটি ওয়াশরুমের একটি ব্যবহার করছে এবং ময়লা আর্বজনা ফেলে ভাগাড়ে পরিনত করছে। এমতাবস্থায় লটারির মাধ্যমে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীরা স্কুল এন্ড কলেজের পরিবেশ দেখে অন্যত্র ভর্তি হচ্ছে। বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরেও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছে না। এজন্য আমাদের দাবি মূল নকশা অনুযায়ী মূল ভবন ফেরত চাই।

 মূল ভবনে ফেরার দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, ওই জায়গা ওদের দেয়া যাবে না, আমি আমার শিক্ষার্থীদেরই দিতে পারছি না। আর রিজেন্ট বোর্ড থেকে এই স্কুলের অনুমোদন নেই। এমনকি স্কুলের একজন শিক্ষকেরও নিবন্ধন নাই। তবুও আমি রাখছি কারন শিক্ষকদের রুজি-রুচির বেপার এবং কিছু শিক্ষার্থীও আছে সেজন্য। এটা ঠিক হতে আরো ৫-৭ বছর সময় লাগবে। এদের অনুমোদন আসবে, বাজেট আসবে তারপর এবং নামটাও পরিবর্তন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, “এরা শহিদ মিনারে গেছে সিনক্রিয়েটের জন্য। এরা আমার কাছে আসলেই সমাধান হয়ে যায়। আমার কাছে তো কখনো আসে নাই। একটা কিছু হলেই শহিদ মিনারে দাঁড়ায় যায় মনে হয় ভিসিই সব কিছু করছে। কিন্তু এটা তো কাম্য নয়।”

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow