ককবরক ভাষার কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং-এর প্রয়াণে জাতীয় কবিতা পরিষদের শোক

বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ভারতের ককবরক ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং-এর আকস্মিক প্রয়াণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য ও জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত গভীব শোক প্রকাশ করেছেন এবং কবির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাহিত্য-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে ত্রিপুরার প্রয়াত কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং-এর অনন্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ ভারতের মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি ছিলেন জাতীয় কবিতা পরিষদের একজন একনিষ্ঠ সুহৃদ। কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং উত্তর-পূর্ব জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠন করে বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের কবি-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে এক নিবিড় ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর প্রয়াণ আমাদের জন্য অপূরণীয় শুন্যস্থান তৈরি করলো।
উল্লেখ্য, সোমরার সকালে কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং প্রাতঃভ্রমণ কালে আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে, চিকিৎসার ন্যূনতম সুযোগ না দিয়ে প্রয়াত হয়েছেন।
কবি রাজ্যের আদিবাসীদের ভাষা ককবরক-এ লিখেছেন এবং কবিতার পাঁচটি বই প্রকাশ করেছেন। "সমসাময়িক ত্রিপুরায় জনজীবনের যন্ত্রণা" তাঁর কবিতার মূল প্রতিপাদ্য। ত্রিপুরার পাহাড়, খরস্রোতা নদী এবং পাখির গানের সুরকে প্রতিস্থাপন করছেন কবিতায়।
ককবরক সাহিত্যের বিকাশে অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৭ সালে সাহিত্য একাডেমি, নয়াদিল্লি থেকে ভাষাসম্মান পুরস্কার অর্জন করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর গীতাঞ্জলি ককবরক ভাষায় স্বরলিপি তৈরি করেন কবি চন্দ্রকান্ত মুড়াসিং। ১৯৯৭ সালেই প্রতিষ্ঠা করেন ককবরক সাহিত্য একাডেমি।
তিঁনি ১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। স্ত্রী, দুই পুত্র এক কন্যা এবং নাতি নাতনিদের রেখে গেছেন।
What's Your Reaction?






