সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহতেই ভরসা বরিশালবাসির
![সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহতেই ভরসা বরিশালবাসির](https://banglamirror.net/uploads/images/202304/image_870x_642fb39e87d24.jpg)
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কয়েক মাস বাকি।এরই মধ্যে বইতে শুরু করেছে নগরীতে নির্বাচনী হাওয়া।পাড়া মহল্লায় চলছে নির্বাচনী আলোচনা। সন্ত্রাস ও চাদাবাজ মুক্ত বরিশাল নগরীকে স্মার্ট বরিশাল নগরীতে রুপান্তরিত করতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহতেই আস্থা বরিশাল নগরবাসীর।
সাদিক আবদুল্লাহ বরিশালের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শ্রদ্ধেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা), সাবেক চিফ হুইপ ও বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ।
সাদিক আবদুল্লাহ তাঁর জীবদ্দশায় নানা ঘাত প্রতিঘাত মোকাবেলা করে আজ নিজেকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাত্রিতে যখন নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল তখন সাদিক আবদুল্লাহর বয়স মাত্র দেড় বছর।
সাদিক আবদুল্লাহ সবসময় বলে থাকেন, “হয়তো জনগনের সেবা করার জন্য সেদিন তাকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।” রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান সাদিক আব্দুল্লাহ অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন। ঘাত-প্রতিঘাত এবং অতীত জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে বাস্তবতার মুখে নিজেকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন হয়ে উঠেছেন গণমানুষের একজন।
২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করার সুযোগ পান এবং বিপুল ভোটে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। সাদিক আবদুল্লাহ থাকতে চান সব সময় জনতার কাতারে। সাদিক আবদুল্লাহ বয়স্কদের যেমন সন্মান করেন তেমনি ছোটদের করেন স্নেহ। সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করে সাদিক আবদুল্লাহ যেমন সেখানে শুদ্ধি অভিযান চালিয়েছেন আবার তার কর্মকর্তা- কর্মচারীদের জন্য হয়েছেন মানবিকও।
তিনি পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বেতন বাড়িয়েছেন। অনিয়মিত সকল কর্মচারীর জন্য চালু করেছেন বোনাস। মাসের প্রথম সপ্তাহেই পরিশোধ করা হচ্ছে বেতন। চাকুরী শেষে অবসর যাওয়ার পর যাবতীয় সকল সুবিধা পাওয়ার স্বপ্ন কেউ কখনো দেখেননি। কিন্তু সাদিক আবদুল্লাহ অবসরে যাওয়া ৪৬ জন স্টাফকে একসাথে তাদের সকল পাওনা পরিশোধ করে দিয়ে বিসিসির ইতিহাসে নজির সৃষ্টি করেছেন। নবীন এই মেয়র সকলকে সাথে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন আগামীর বরিশাল গড়ার।
নগরীর সিনিয়র সিটিজেন ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের জন্য নগরভবনে একটি হেল্প ডেক্স চালু হয়েছে তার হাত ধরেই। সাদিক আবদুল্লাহ শিশুদের ভীষন পছন্দ করেন। শিশু বান্ধব নগরী গড়ার লক্ষ্যে তিনি কাজ করছেন। উৎসবের সময় নতুন পোশাক নিয়ে ছুটে যান এতিমখানাসহ দু:স্থ শিশু নিবাস কেন্দ্র গুলোতে। শিশুদের জন্য একটি পার্ক সংস্কারের পাশাপাশি নগরীতে গড়ে তুলেছেন আরেকটি শিশু পার্ক।
ঘোষনা দিয়েছেন নগরীর পাড়া মহল্লায় মিনি পার্ক নির্মাণের। তারই ধারাবাহিকতায় নগরীর চৌমাথায় করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা আবদুল্লাহ পার্ক। সাদিক আবদুল্লাহ প্রায়ই বলে থাকেন একজন বিবেকহীন শিক্ষিত লোকের চেয়ে একজন দেশপ্রেমিক অশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধা অনেক ভালো।আর সেকারনেই তিন মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে ত্রিশ গোডাউন এলাকার বধ্যভূমি সংরক্ষন করেছেন। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান সাদিক আবদুল্লাহ একজন মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থাকতে চান।সস্তা জনপ্রিয়তা না তিনি নগরীর টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন।
দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য নিবেদিত প্রান সাদিক আবদুল্লাহর কাছে চিকিৎসা কিংবা সন্তানের পড়ালেখা ও বিয়ের জন্য অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকেন প্রতিনিয়ত। করোনা কালীন সময়ে সাদিক আবদুল্লাহ নগরীর প্রতিটি ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। নেতাকর্মীর আশা-ভরসারস্থল সাদিক আবদুল্লাহ ঘোষনা করেছেন প্রয়োজনে তিনি তাঁর সকল সম্পদ বেচে দেবেন কিন্তু চিকিৎসার অভাবে একজন নেতা-কর্মীকেও মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিবেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের ভোটার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শাহরিয়ার রাবিব বলেন,বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত বরিশালে আওয়ামী রাজনীতি সুসংগঠিত করেছেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ভাই। তিনি তার আচরনের মাধ্যমে জয় করেছেন সকল শ্রেনীর মানুষের মন।
বরিশাল সিটির আওয়ামী রাজনীতির প্রান ফিরে এসেছে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ভাইয়ের হাত ধরেই। তিনি একজন কর্মীবান্ধব নেতা তিনি সব সময় জনগনের খোজ খবর রাখেন নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করেন।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন কে একটি দূর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছেন। এই শহরে কোন সন্ত্রাস নাই,কোন চাদাবাজ নাই , সিটি কর্পোরেশনে কোন দুর্নীতি নাই।করোনাকালীন সময়ে তিনি নগরবাসীর ঘরে ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন।এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে তিনি সব সময় জনগনের পাশেই ছিলেন। আমার যে বিষয়টা ভালো লাগে তিনি নেতা কর্মীদের বাসায় গিয়ে খোজ খবর নেন, বলেন শাহারিয়ার রাবিব।
What's Your Reaction?
![like](https://banglamirror.net/assets/img/reactions/like.png)
![dislike](https://banglamirror.net/assets/img/reactions/dislike.png)
![love](https://banglamirror.net/assets/img/reactions/love.png)
![funny](https://banglamirror.net/assets/img/reactions/funny.png)
![angry](https://banglamirror.net/assets/img/reactions/angry.png)
![sad](https://banglamirror.net/assets/img/reactions/sad.png)
![wow](https://banglamirror.net/assets/img/reactions/wow.png)