হাজীগঞ্জ ছাত্রলীগের শীর্ষ পদের দৌড়ে একাধিক মামলার আসামি রাব্বি

চাঁদপুর হাজীগঞ্জ ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে পদ পেতে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। সভাপতি-সম্পাদক পদ বাগিয়ে নিতে প্রার্থীরা ধরনা দিচ্ছেন জেলা নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে।
অভিযোগ আছে,হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদের দৌড়ে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন অছাত্র, বিবাহিত, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন মামলার আসামি কিংবা বিভিন্ন অপকর্মে ‘বিতর্কিত’। বর্তমান কমিটিতে যারা আছেন তারা বিবাহিত এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি আট বছর চলমান রয়েছে এই কমিটি ।
হাজীগঞ্জ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ উপজেলা নতুন নেতৃত্বের আসার জন্য এগিয়ে আছেন বর্তমান কমিটির মেহেদী হাসান রাব্বি, সাধারন সম্পাদক, হাজীগঞ্জ পৌরসভা ছাত্রলীগ। যিনি নানা কারনে বিতর্কিত।
অভিযোগ আছে, তার মাধ্যমিক স্কুল বা শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন সার্টিফিকেট নাই, জাল সার্টিফিকেটের বিনিময় চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগ কে ২০১৫ সালে টাকার বিনিময়ে নেতৃত্ব পায়। হাজীগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দদের প্রশ্ন জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে অছাত্র হয়ে এখনো কিভাবে বর্তমান পদে মেহেদি হাসান রাব্বি এখনো বহাল আছেন।
এছাড়াও রাব্বী গত ১ -১২-২০১৯ তারিখে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুর রহমান খোকন বলির উপর তার সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে হামলা করেন। তৎকালীন সময়ে মেহেদি হাসান রাব্বির নামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বরাবর লিখিত আকারে তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করার জন্য অভিযোগ দায়ের করেন হাজিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক । হাজীগঞ্জ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, পৌরসভার মেয়র, উপজেলার চেয়ারম্যান ।
সেই অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারন সম্পাদক নির্দেশে দুই বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শোভন রাব্বানী কমিটর ঝামেলার কারনে তখনকার সময় আর এই অভিযোগ উপর কোন নির্দেশনা আর দেয়া হয়নি ।
এছাড়াও রাব্বীর নামে অনেক অভিযোগ রয়েছেন হাজিগঞ্জ থানায় এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ হান্নান গাজীর উপর হামলা ।
মেহেদী হাসান রাব্বির নামে এক নাম্বার আসামি করে মামলা করা হয় এখনো মামলা চলমান। হাজিগঞ্জ থানা বাদি হয়ে হাজিগঞ্জ বাজারে চাঁদাবাজি করাই পুলিশের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করায় পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি বাদী মামলা করেন এক নম্বর আসামি মেহেদী হাসান রাব্বি করে ৫১ জনকে আসামি করে ১৫০ জন অজ্ঞাত দিয়ে মামলা দায়ের করে ।বর্তমানে এখনো মামলা চলমান রয়েছে ।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে রাব্বীর কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট নেই এবং পদ পেতে জীবন বৃত্তান্তে যা জমা দিয়েছেন তা বেশিরভাগই ভুয়া।সে একজন বিবাহিত।
তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে বারবার যোগাযোগ করেও রাব্বীর সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নি।
What's Your Reaction?






